Posted by Mehedi Hasan Niloy On May 31 , 2022
নিজের স্বপ্নের বাড়ি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মানে কেবল একটি ইট-কাঠ-সুরকির বাক্স নয়। নিজের বাড়ি মানে স্বপ্নের সাতকাহন। একটি বাড়ি নিয়ে মানুষের আশৈশব স্বপ্ন থাকে। স্বপ্নের সেই বাড়ি তৈরির কাজ শুরুর আগে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। বিশেষ করে বাড়ি নির্মাণের পূর্বে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং কাজ করে নেয়া খুবই জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ।এগুলোর মধ্যে রয়েছে
১. সয়েল টেস্ট
২. ল্যান্ড সার্ভে
৩. ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্টের সাক্ষাৎ
৪. গাইডলাইন।
১. সয়েল টেস্ট
নির্মাণ কাজ শুরুর আগের সয়েল টেস্টের মাধ্যমে জানা যাবে যেখানে বাড়ি নির্মাণ করছেন সেখানকার কাঠামোগত ভিত্তি ও কন্সট্রাকশনের জন্য জায়গাটা ঠিক কতোখানি উপযুক্ত। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যগুলোর ওপর ভিত্তি করে সয়েল ইঞ্জিনিয়াররা নির্ণয় করতে পারবেন ওই এলাকার মাটিতে ঘনত্ব, বাড়ি নির্মাণের জন্য জায়গাটি উপযুক্ত কিনা। কিংবা সেখানে কোনো বিষাক্ত পদার্থ আছে কিনা। সয়েল টেস্ট না করলে ফাউন্ডেশন ডিজাইন প্রায় অসম্ভব। সঠিক ফাউন্ডেশন ডিজাইন না থাকলে স্থাপনা সেটেল করা মুশকিল এমনকি দেবে যাবার সম্ভাবনাও থাকে। যা পরবর্তীতে ক্র্যাক বা ফাটল সৃষ্টি করে স্থাপনার ক্ষতি করতে পারে। এমনকি কখনো কখনো হুমকিস্বরূপ হয়ে দাড়াতে পারে। তাই বিল্ডিং ডিজাইনের আগেই অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে মাটির গুনাগুণ বিশ্লেষণ ও মাটির ধারণক্ষমতা নির্ভুলভাবে নির্ণয় করে রিপোর্ট তৈরি করে নিতে হবে।
২. ল্যান্ড সার্ভে:
সয়েল টেস্ট হয়ে গেলে এবার বাড়ি নির্মাণের আগে ল্যান্ড সার্ভে করা জরুরি। বিশেষ করে ডিজিটাল ল্যান্ড সার্ভে। এই সার্ভের মাধ্যমে জমির সঠিক পরিমাপ পাওয়া যায় এবং পরিমাপে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। সার্ভের মাধ্যমে বাড়ি কিংবা ভবন নির্মাণ কাজের শুরুতে ভবনের লে-আউট এর কাজও খুব সহজেই করা যায়।
ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে জমির লেভেলিং এর পরিমাপ পাওয়া যায়। যা জমি ভরাট এর ক্ষেত্রে খুবই জরুরি। ডিজিটাল সার্ভের করে খুব সহজেই হিসাব করে বলে দেওয়া যায়— জমি ভরাটের ক্ষেত্রে কি পরিমাণ মাটি বা বালি লাগবে। তাছাড়া এই সার্ভে করার পেছনে প্রথম উদ্দেশ্য থাকে জমির সঠিক পরিমাপটা বের করা। বিশেষ করে যেসমস্ত জমি পুরোপুরি চারকোণা নয়, সেগুলো হাতে মেপে কখনোই সঠিক মাপ পাওয়া যম্ভব না অথবা অনেক জটিল হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে টোটাল স্টেশন অথবা থিওডোলাইট ব্যবহার করে এই কাজটি করা হয়। আর সার্ভে ড্রইং ছাড়া কোন আর্কিটেক্টই বাড়ির কাজ শুরু করবেন না।
ল্যান্ড সার্ভের ক্ষেত্রে আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন। আমাদের রয়েছে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা। তাছাড়া আমাদের মেধাবী ডিজিটাল জরিপকারীরা প্রক্রিয়ার সকল দিক যত্নসহকারে খেয়াল রাখবেন।
৩. ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্টের সাক্ষাৎ:
সয়েল টেস্ট ও ল্যান্ড সার্ভের পর বাড়ি নিমার্ণের ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। নির্মাণ কাজকে, ঝুঁকিমুক্ত, ত্রুটিমুক্ত ও যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে এই সাক্ষাৎটা খুবই জরুরি। যে কারণে এই সাক্ষাৎতে প্রজেক্ট আর্কিটেক্ট, প্রজেক্ট এক্সিকিউটিভ, আরএফেআই রিভিউয়ার, ল’ইয়ার, অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারদের যুক্ত করা প্রয়োজন। যাতে করে নির্মাণ সংক্রান্ত ইস্যুগুলো নিয়ে যথাযথ সিদ্ধান্তে আসা যায়।প্রজেক্টির কাজ কোন ঠিকাদার করবেন, কতোদিনে শেষ করবেন, নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে না পারলে কি ধরনের ক্ষতিপূরণ দিবেন, ডিজাইনে কোনো ডিফেক্ট হলে সেটার দায় কে নিবে, গোপন কোনো শর্ত আছে কিনা, মোট কতো টাকা খরচ হবে, নিমার্ণ কাজ চলাকালিন কে কে ইন্সপেকশন ও অবজারভেশনের কাজ করবেন, কয়দিন পর পর ইন্সপেকশন কিংবা অবজারভেশনে যাবেন— এসব বিষয়গুলো খোলাসাপূর্ণ আলোচনা করে ঠিক করে নেওয়া যায়। তাতে নিমার্ণ কাজের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সহজ হয়।
৪. গাইডলাইন:
সয়েল টেস্ট, ল্যান্ড সার্ভের পর ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তাদের পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন নিয়ে শুরু করতে হবে নির্মাণ কাজ।
২০১৩ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে পিটুপি ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন চেষ্টা করছে নির্মাণ শিল্পকে সহজ, দ্রুততম ও হ্যাসেল ফ্রি করার। গেল প্রায় এক দশকে পিটুপি পরিপূর্ণতা অর্জন করেছে স্থাপত্য শিল্পে। পিটুপি এখন বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালসের পরিপূর্ণ সল্যুশন প্যাকেজের নাম। যাদের আছে নিজস্ব কনস্ট্রাকশন টিম। আছে নিজস্ব রড, সিমেন্ট, ব্রিকস ও রেডি মিক্সের মতো সিভিল কনস্ট্রাকশনের ম্যাটেরিয়াল। আপনার নির্মাণ হোক সুন্দর ও সহজ হোক পিটুপি ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশনের সাথে।
Our services: